বাংলাদেশে নাকি আদিবাসী নেই?

(The Mog Nation Wiki, an archive)


~ ~ ~ ~ ~

(Google translation of the text into English is below the Bangla text.)

~ ~ ~ ~ ~

বাংলাদেশে নাকি আদিবাসী নেই?

“পার্বত্য চট্টগ্রাম, শান্তিবাহিনী জিয়া হত্যা মনজুর খুন” প্রথমা প্রকাশন, বইমলা, ২০২২ পুস্তকের ৪৪৬ পৃষ্ঠায় জনাব মহিউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সরকারের অবশরসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, শরদেন্দু শেখর চাকমার বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেনঃ

“তবে রাজা দেবাশীষের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক কাজ হলো, তাঁর সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয় … পার্বত্য চট্টগ্রমে যেসব উপজাতি বাস করে, তারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, আদিবাসী নয়। … এর কয়েক বছর পর ২০১২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন আদিবাসী হিসেবে দেবাশীষ রায় জাতিসংঘে স্থায়ী আদিবাসী ফেরামের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।”

উক্ত বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও মানহানিকর, অতএব এর জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

একই বিষয় নিয়ে আমি আমার ফেইসবুকে, ০২/০৮/২০১৭ তারিখে, পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রির নিকট প্রেরিত ০৮/১১/২০১৭, ১১/১২/২০১৭ ও ০৫/১১/২০২০ তারিখের পত্রে এবং মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৭/০৫/ ২০১৭ তারিখের বৈঠকে আলোচনা করি। নিচে উপরোক্ত ফেসবুক স্ট্যাটাস এর একাংশ উদ্রিত করলামঃ

“… ২০০৮ সনের কোন এক সময়ে – যখন আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলাম – মন্ত্রণালয় নাকি… লিখেছিল যে দেশে কোন আদিবাসী নেই। তবে মন্ত্রণালয় যে এরকম বক্তব্য রাখতে পারে, আমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার ব্যাপারে কিছুই আভাষ পাইনি। কেবল মন্ত্রণালয়ে আমার দায়িত্বের অবসান হওয়ার পরেই শুনেছি।

এখন ব্যাপারটা আমার কাছে আরেকটু খোলামেলা হয়ে গেছে। ইদানিং জানতে পারলাম যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখের পাচবিম (সম-১)-৩৭/৯৭-১১৭, তারিখ: ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ স্মারক মূলে পার্বত্য মন্ত্রনালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে যে, “The Country has some tribal populations and there are no indigenous peoples” মর্মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামতের সাথে মন্ত্রণালয় একমত পোষণ করে।

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে আমি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ূ পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে দ্বি-পাক্ষিক আলাপের জন্য তৎকালীন অর্থ উপদেষ্ঠা জনাব এ. বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম সহ লণ্ডনে ছিলাম। উক্ত পত্র সম্পর্কে আমার কিছুই জানা ছিলনা এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব আমার মতামত / সম্মতি গ্রহণ করেন নাই।

উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের প্রাক্তন সচিব, মি: নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে জ্ঞাত ছিলেন যে, ০৯/০৯/২০০৮ এর পত্র সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের নথিতে আমার অনুমোদন ও স্বাক্ষর উভয়ই অনুপস্থিত এবং তা আমাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে তিনি জানিয়েছিলেন দু-এক বছর আগে।

সাধারণত মন্ত্রনলায়ে কোন রাজনৈতিক বা নীতিমালা (policy) সংক্রান্ত বিষয় উত্থাপিত হলে তা নেতৃত্বাধীন মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী-এর কাছে উত্থাপিত হয়। এবং মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকলেই কেবল সচিব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় এক বছর ধরে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকেও “আমলাতন্ত্রের মারপ্যাঁচ” সব বুঝে উঠেছি, তা দাবী করবোনা। আলোচিত বিষয়টি এর প্রমাণ!

কাজেই আসল বিষয়টা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন! ২০০৮ সনেই ৯ আগস্টকে উপলক্ষ করে তৎকালীন সরকার প্রধান দেশের আদিবাসীদেরকে “আদিবাসী” হিসেবে সম্বোধন করে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের শুভেচ্ছার বার্তা পাঠিয়েছিলেন (এটা বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের ২০০৮ সনের স্মৃতিস্মারকে ছাপানো রয়েছে)। এর খসড়া আমিই পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সরকার প্রধানের কাছে পাঠিয়েছিলাম। তৎকালীন সময় স্থানীয় সরকার আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী বিলেও আদিবাসীদের কথা “আদিবাসী” শব্দ উল্লেখ করে অন্তর্ভুক্ত ছিল (তাঁদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে), যদিও অবশেষে এই সংশোধনী আইনে প্রণীত হয়নি।”

২০১০ সনে জাতীয় সংবিধানে আদিবাসী সংক্রান্ত বিধানাবলি অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আদিবাসী নেতৃবৃন্দের ঐক্যমত্য এর বিষয়ে ফেইসবুক এ আরও লিখেছিলাম যে,

PARBATTANEWS.COM এর প্রতিবেদনে আদিবাসী অবিধা প্রসঙ্গে দেশের আদিবাসী নেতৃবৃন্দের ভিন্নমতের কথা বলা হয়েছে। তবে সব ইস্যুতে যে আদিবাসী নেতৃবৃন্দ – কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকুক আর না থাকুক – ভিন্নমত পোষণ করেন বা করেছিলেন তা ঠিক না। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতল অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি প্রেক্ষিতের কথা তাই উল্লেখ করছি।

২০১০ সনে, তৎকালীন চলমান সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়ার সময়, তৎকালীন পাঁচজন আদিবাসী এমপি – দীপঙ্কর তালুকদার, প্রমোদ মানকিন, বীর বাহাদুর উশোই সিং, যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং প্রফেসর এথিন রাখাইন – এর যৌথ আহবানে আমি সহ প্রখ্যাত আদিবাসী নেতা গৌতম কুমার চাকমা, এলবার্ট মানকিন, মঙ্গল কুমার চাকমা, মং তাহান, ক্য ফেইন অং, উশিত মং, সঞ্জীব দ্রং সহ অনেকেই একত্রে কাজ করেছিলাম।

এম.পি-দের আহবানে আমার নেতৃত্বে একটি সংবিধান সংশোধন খসড়া প্রণয়ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়, যাতে শেষোক্ত ব্যক্তিগণ সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এ বিষয়ে দীপঙ্কর তালুকদারের ঢাকাস্থ বাসভবনে ৭/৮/২০১০ তারিখে সহ একাধিক বৈঠকের পর একটি খসড়া প্রস্তাবে ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর পর খসড়াটি প্রধান মন্ত্রী ও সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছে পেশ করা হয়। এতে উপরোল্লিখিত নেতৃবৃন্দ সহ (সাংসদ এবং অন্যান্য আদিবাসী নেতা) আমার স্বাক্ষর ছিল! এরপর কি হলো আপনারা জানেন, সংবিধান সংস্কারের কথা (তা নিয়ে আলাদাভাবে লিখবো, বাম দলের সাংসদদের সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনী বিলের কথা সহ)।

কাজেই, আশ্চর্যজনক হলেও এই সত্যে ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে (এবং আমার কাছে দালিলিক প্রমাণও রয়েছে, সরাসরিভাবে সংশ্লিষ্ট অন্য অনেকের ন্যায়), ২০১০-এর পূর্বে বা পরে, যে যায় বলে থাকুননা কেন, সংবিধান সংস্কারের বিষয়য়ে ২০১০ সনে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংসদ, জেএসএস এর শীর্ষ নেতা সহ সমতলের ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক আদিবাসী নেতৃবৃন্দের ঐকমত্য ছিল।”

তাছাড়া, উপরোক্ত ফেইসবুকে, বাংলাদেশের সরকার প্রধানদের আদিবাসী সম্বোধন এর বিষয়ে যা লিখেছি এর বর্ণণা নিম্নরূপ:

“আর এটাও মনে রাখা দরকার যে ২০০৮-এর অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় সরকারের প্রধান এক মাত্র সরকার প্রধান নন যিনি বাংলাদেশের আদিবাসীদের প্রেক্ষাপটে “আদিবাসী” শব্দ ব্যাবহার করেছেন। তিনি ছাড়া দেশের নির্বাচিত সরকারের অন্তত: দুইজন সরকার প্রধানও “আদিবাসী” শব্দ ব্যাবহার করেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে আদিবাসীদেরকে “আদিবাসী” হিসেবে সম্বোধন করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন (এসব বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের স্মৃতিস্মারকে ছাপানো রয়েছে এবং অন্যভাবেও সংরক্ষিত রয়েছে)।”

~ Raja Devasish Roy

August 9, 2022

~ ~ ~ ~ ~

(Google translation of the text into English)

বাংলাদেশে নাকি আদিবাসী নেই?

There are no indigenous people in Bangladesh?

“পার্বত্য চট্টগ্রাম, শান্তিবাহিনী জিয়া হত্যা মনজুর খুন” প্রথমা প্রকাশন, বইমলা, ২০২২ পুস্তকের ৪৪৬ পৃষ্ঠায় জনাব মহিউদ্দিন আহমদ, বাংলাদেশ সরকারের অবশরসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব, শরদেন্দু শেখর চাকমার বইয়ের উদ্বৃতি দিয়ে আমাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেনঃ

Mr. Mohiuddin Ahmad, Retired Additional Secretary of Bangladesh Government, quoting the book of Sharadendu Shekhar Chakma wrote to me on page 446 of the book "Chittagong Hill Tracts, Shanti Bahini Zia Killed Manjur Khun" Prothama Prakashan, Boimala, 2022:

“তবে রাজা দেবাশীষের সবচেয়ে ন্যক্কারজনক কাজ হলো, তাঁর সময়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়কে একটি চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয় … পার্বত্য চট্টগ্রমে যেসব উপজাতি বাস করে, তারা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, আদিবাসী নয়। … এর কয়েক বছর পর ২০১২ সালে পার্বত্য চট্টগ্রামের একজন আদিবাসী হিসেবে দেবাশীষ রায় জাতিসংঘে স্থায়ী আদিবাসী ফেরামের সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।”

“But the most despicable act of Raja Debashish is that during his time a letter was given from the Ministry of Foreign Affairs to the Ministry of Chittagong Hill Tracts. It says ... the tribes living in the hilly areas are small groups, not adivasis. ... A few years later, in 2012, Debashish Roy, as an indigenous person from the Chittagong Hill Tracts, was elected as a member of the Permanent Adivasi Forum at the United Nations.”

উক্ত বক্তব্য উদ্দেশ্য প্রণোদিত, মিথ্যা ও মানহানিকর, অতএব এর জন্য তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি।

The statement is motivated, false and defamatory, therefore strongly protesting it.

একই বিষয় নিয়ে আমি আমার ফেইসবুকে, ০২/০৮/২০১৭ তারিখে, পার্বত্য মন্ত্রনালয়ের মন্ত্রির নিকট প্রেরিত ০৮/১১/২০১৭, ১১/১২/২০১৭ ও ০৫/১১/২০২০ তারিখের পত্রে এবং মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৭/০৫/ ২০১৭ তারিখের বৈঠকে আলোচনা করি। নিচে উপরোক্ত ফেসবুক স্ট্যাটাস এর একাংশ উদ্রিত করলামঃ

Regarding the same in my Facebook, dated 02/08/2017, letters to Minister of Hills Ministry dated 08/11/2017, 11/12/2017 and 05/11/2020 and Parliamentary Standing Committee on Ministries dated 17/05/2017 Discuss in the meeting. Below is a part of the above Facebook status:

“… ২০০৮ সনের কোন এক সময়ে – যখন আমি পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলাম – মন্ত্রণালয় নাকি… লিখেছিল যে দেশে কোন আদিবাসী নেই। তবে মন্ত্রণালয় যে এরকম বক্তব্য রাখতে পারে, আমি প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার ব্যাপারে কিছুই আভাষ পাইনি। কেবল মন্ত্রণালয়ে আমার দায়িত্বের অবসান হওয়ার পরেই শুনেছি।

“… At some point in 2008 – when I was in charge of the State Minister of the Ministry of Chittagong Hill Tracts Affairs – the ministry… wrote that there are no indigenous people in the country. But the ministry can make such a statement, I did not get any indication during my tenure as the state minister. Heard only after my stint in the ministry was over.

এখন ব্যাপারটা আমার কাছে আরেকটু খোলামেলা হয়ে গেছে। ইদানিং জানতে পারলাম যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখের পাচবিম (সম-১)-৩৭/৯৭-১১৭, তারিখ: ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ স্মারক মূলে পার্বত্য মন্ত্রনালয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানিয়েছে যে, “The Country has some tribal populations and there are no indigenous peoples” মর্মে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতামতের সাথে মন্ত্রণালয় একমত পোষণ করে।

Now the matter has become a little more open to me. Lately, I have come to know that the Ministry of Chittagong Hill Tracts Affairs has informed the Ministry of Foreign Affairs in the memorandum dated September 09, 2008 Pachbim (Sam-1)-37/97-117, Dated: September 09, 2008 that, "The Country has some tribal populations and The Ministry agrees with the opinion of the Ministry of Foreign Affairs that there are no indigenous peoples”.

০৯ সেপ্টেম্বর, ২০০৮ তারিখে আমি পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ূ পরিবর্তন সংক্রান্ত বিষয়ে যুক্তরাজ্য সরকারের সাথে দ্বি-পাক্ষিক আলাপের জন্য তৎকালীন অর্থ উপদেষ্ঠা জনাব এ. বি. মির্জা আজিজুল ইসলাম সহ লণ্ডনে ছিলাম। উক্ত পত্র সম্পর্কে আমার কিছুই জানা ছিলনা এবং এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সচিব আমার মতামত / সম্মতি গ্রহণ করেন নাই।

On September 09, 2008, I invited the then Finance Advisor Mr. A. B. I was in London with Mirza Azizul Islam. I did not know anything about the said letter and the then Secretary of the Ministry did not accept my opinion / consent in this regard.

উল্লেখ্য যে, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রলালয়ের প্রাক্তন সচিব, মি: নববিক্রম কিশোর ত্রিপুরা, এনডিসি এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গভাবে জ্ঞাত ছিলেন যে, ০৯/০৯/২০০৮ এর পত্র সংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের নথিতে আমার অনুমোদন ও স্বাক্ষর উভয়ই অনুপস্থিত এবং তা আমাকে অনানুষ্ঠানিকভাবে তিনি জানিয়েছিলেন দু-এক বছর আগে।

It is to be noted that the former Secretary, Ministry of Chittagong Hill Tracts Affairs, Mr. Navvikram Kishore Tripura, NDC was fully aware that both my approval and signature were missing in the Ministry document regarding the letter dated 09/09/2008 and he had informally informed me about it for a year or two. before

সাধারণত মন্ত্রনলায়ে কোন রাজনৈতিক বা নীতিমালা (policy) সংক্রান্ত বিষয় উত্থাপিত হলে তা নেতৃত্বাধীন মন্ত্রী/প্রতিমন্ত্রী/উপমন্ত্রী-এর কাছে উত্থাপিত হয়। এবং মন্ত্রী অনুপস্থিত থাকলেই কেবল সচিব সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন। প্রায় এক বছর ধরে প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্বে থেকেও “আমলাতন্ত্রের মারপ্যাঁচ” সব বুঝে উঠেছি, তা দাবী করবোনা। আলোচিত বিষয়টি এর প্রমাণ!

Generally, when any political or policy related matter is raised in the ministry, it is raised to the Minister of State/Minister of State/Deputy Minister under the leadership. And if the Minister is absent, only the Secretary takes the decision. I will not claim that I have understood all the "bureaucracy's ins and outs" even after serving as a state minister for almost a year. Proof of the discussed matter!

কাজেই আসল বিষয়টা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন! ২০০৮ সনেই ৯ আগস্টকে উপলক্ষ করে তৎকালীন সরকার প্রধান দেশের আদিবাসীদেরকে “আদিবাসী” হিসেবে সম্বোধন করে আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসের শুভেচ্ছার বার্তা পাঠিয়েছিলেন (এটা বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের ২০০৮ সনের স্মৃতিস্মারকে ছাপানো রয়েছে)।

So you must understand the real thing! On August 9, 2008, the then head of government addressed the indigenous people of the country as "indigenous people" and sent a message of greetings on the International Day of Indigenous Peoples (this is printed in the 2008 memorial of the Bangladesh Indigenous Forum).

এর খসড়া আমিই পার্বত্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সরকার প্রধানের কাছে পাঠিয়েছিলাম। তৎকালীন সময় স্থানীয় সরকার আইনের প্রস্তাবিত সংশোধনী বিলেও আদিবাসীদের কথা “আদিবাসী” শব্দ উল্লেখ করে অন্তর্ভুক্ত ছিল (তাঁদের জন্য সংরক্ষিত আসনের বিষয়ে), যদিও অবশেষে এই সংশোধনী আইনে প্রণীত হয়নি।”

It was I who sent the draft to the Chief Minister on behalf of the Ministry of Hills. A proposed amendment to the Local Government Act at the time also included a reference to tribals by the word ``adivasi'' (with regard to seats reserved for them), though the amendment was not finally enacted."

২০১০ সনে জাতীয় সংবিধানে আদিবাসী সংক্রান্ত বিধানাবলি অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে আদিবাসী নেতৃবৃন্দের ঐক্যমত্য এর বিষয়ে ফেইসবুক এ আরও লিখেছিলাম যে,

In 2010, I also wrote on Facebook about the consensus of tribal leaders regarding the inclusion of provisions related to tribals in the national constitution.

PARBATTANEWS.COM এর প্রতিবেদনে আদিবাসী অবিধা প্রসঙ্গে দেশের আদিবাসী নেতৃবৃন্দের ভিন্নমতের কথা বলা হয়েছে। তবে সব ইস্যুতে যে আদিবাসী নেতৃবৃন্দ – কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত থাকুক আর না থাকুক – ভিন্নমত পোষণ করেন বা করেছিলেন তা ঠিক না। পার্বত্য চট্টগ্রাম ও সমতল অঞ্চলের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দের ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি প্রেক্ষিতের কথা তাই উল্লেখ করছি।

"PARBATTANEWS.COM's report talks about the differences of opinion among the tribal leaders of the country regarding the tribal conflict. But it is not true that tribal leaders - whether affiliated with any political party or not - dissent on all issues. Therefore, I am referring to a perspective based on the consensus of the top leaders of the Chittagong Hill Tracts and plains.

২০১০ সনে, তৎকালীন চলমান সাংবিধানিক সংস্কারের প্রস্তুতিমূলক প্রক্রিয়ার সময়, তৎকালীন পাঁচজন আদিবাসী এমপি – দীপঙ্কর তালুকদার, প্রমোদ মানকিন, বীর বাহাদুর উশোই সিং, যতীন্দ্র লাল ত্রিপুরা এবং প্রফেসর এথিন রাখাইন – এর যৌথ আহবানে আমি সহ প্রখ্যাত আদিবাসী নেতা গৌতম কুমার চাকমা, এলবার্ট মানকিন, মঙ্গল কুমার চাকমা, মং তাহান, ক্য ফেইন অং, উশিত মং, সঞ্জীব দ্রং সহ অনেকেই একত্রে কাজ করেছিলাম।

In 2010, during the preparatory process of the then ongoing constitutional reforms, at the joint call of the then five tribal MPs - Dipankar Talukder, Pramod Mankin, Bir Bahadur Ushoi Singh, Jatindra Lal Tripura and Professor Ethin Rakhine - along with myself, eminent tribal leaders Gautam Kumar Chakma, Elbert Mankin, Mangal Kumar Chakma, Mong Tahan, Kya Fain Aung, Ushit Mong, Sanjeev Drong and many others worked together.

এম.পি-দের আহবানে আমার নেতৃত্বে একটি সংবিধান সংশোধন খসড়া প্রণয়ন উপ-কমিটি গঠন করা হয়, যাতে শেষোক্ত ব্যক্তিগণ সক্রিয় সদস্য ছিলেন। এ বিষয়ে দীপঙ্কর তালুকদারের ঢাকাস্থ বাসভবনে ৭/৮/২০১০ তারিখে সহ একাধিক বৈঠকের পর একটি খসড়া প্রস্তাবে ঐক্যমত্যে পৌঁছানোর পর খসড়াটি প্রধান মন্ত্রী ও সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের কাছে পেশ করা হয়।

A Constitution Amendment Drafting Sub-Committee was formed under my chairmanship at the call of MPs, of which the latter were active members. After several meetings in this regard, including one held at Dipankar Talukder's residence in Dhaka on 7/8/2010, a draft proposal was reached after consensus was reached and the draft was submitted to Chief Minister and Chairman of the Constitution Reform Committee Suranjit Sengupta.

এতে উপরোল্লিখিত নেতৃবৃন্দ সহ (সাংসদ এবং অন্যান্য আদিবাসী নেতা) আমার স্বাক্ষর ছিল! এরপর কি হলো আপনারা জানেন, সংবিধান সংস্কারের কথা (তা নিয়ে আলাদাভাবে লিখবো, বাম দলের সাংসদদের সংবিধান সংস্কার প্রস্তাবনী বিলের কথা সহ)।

It was signed by me along with the above-mentioned leaders (MPs and other tribal leaders)! You know what happened next, about constitutional reform (I will write about it separately, along with the constitutional reform proposed bill by the left party MPs).

কাজেই, আশ্চর্যজনক হলেও এই সত্যে ইতিহাস সাক্ষী রয়েছে যে (এবং আমার কাছে দালিলিক প্রমাণও রয়েছে, সরাসরিভাবে সংশ্লিষ্ট অন্য অনেকের ন্যায়), ২০১০-এর পূর্বে বা পরে, যে যায় বলে থাকুননা কেন, সংবিধান সংস্কারের বিষয়য়ে ২০১০ সনে আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাংসদ, জেএসএস এর শীর্ষ নেতা সহ সমতলের ও পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক আদিবাসী নেতৃবৃন্দের ঐকমত্য ছিল।”

So, surprisingly, history bears witness to the fact (and I have documentary evidence, as do many others directly concerned), be it before or after 2010, that the then Awami League MP, JSS, on constitutional reform in 2010 There was a consensus among many tribal leaders of the plains and Chittagong Hill Tracts along with the top leaders.”

তাছাড়া, উপরোক্ত ফেইসবুকে, বাংলাদেশের সরকার প্রধানদের আদিবাসী সম্বোধন এর বিষয়ে যা লিখেছি এর বর্ণণা নিম্নরূপ:

Moreover, the description of what I wrote on the above Facebook, regarding the address of the heads of government of Bangladesh to the tribals is as follows:

“আর এটাও মনে রাখা দরকার যে ২০০৮-এর অন্তর্বর্তীকালীন নির্দলীয় সরকারের প্রধান এক মাত্র সরকার প্রধান নন যিনি বাংলাদেশের আদিবাসীদের প্রেক্ষাপটে “আদিবাসী” শব্দ ব্যাবহার করেছেন। তিনি ছাড়া দেশের নির্বাচিত সরকারের অন্তত: দুইজন সরকার প্রধানও “আদিবাসী” শব্দ ব্যাবহার করেছিলেন এবং আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবসে আদিবাসীদেরকে “আদিবাসী” হিসেবে সম্বোধন করে শুভেচ্ছা বার্তা পাঠিয়েছিলেন (এসব বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরামের স্মৃতিস্মারকে ছাপানো রয়েছে এবং অন্যভাবেও সংরক্ষিত রয়েছে)।”

"And it is also important to remember that the head of the non-partisan interim government of 2008 is not the only head of government who has used the word "indigenous" in the context of the indigenous people of Bangladesh. Apart from him, at least two Heads of Government of the country's elected government also used the term "indigenous" and sent greeting messages addressing the indigenous people as "indigenous" on International Indigenous Peoples' Day (these Bangladesh Adivasi Forum memos are printed and otherwise preserved)."

~ Raja Devasish Roy

August 9, 2022



The Mog Nation Wiki

Leave a Reply

Fill in your details below or click an icon to log in:

WordPress.com Logo

You are commenting using your WordPress.com account. Log Out /  Change )

Facebook photo

You are commenting using your Facebook account. Log Out /  Change )

Connecting to %s