আরাকান-বান্দরবান সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে কিছু আপডেইট (Some updates on Arakan-Bandarban border tension)

(The Mog Nation Wiki, an archive)

আরাকান-বান্দরবান সীমান্তের উত্তেজনা নিয়ে কিছু আপডেইট

—

সবাই জানে, যুদ্ধটি হচ্ছে পালেতোয়ায়। যা বান্দরবান ও মিজোরাম উভয়ের নিকটবর্তী। এই যুদ্ধের ‘পক্ষ’ আরাকান আর্মি ও বার্মিজ মিলিটারি—এটাও সকলের জানা।
এই দুই পক্ষের কে বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্ত সন্নিহিত এলাকা নিয়ন্ত্রণ করবে—এটাই এখনকার যুদ্ধের প্রাথমিক লক্ষ্য। সংগে যুক্ত আছে আরাকানে ভারতের কালাদন প্রকল্প নিয়ে দরকষাকষির প্রশ্ন।
বাংলাদেশ-বার্মা সীমান্তে নিয়ন্ত্রণ রাখা আরাকান আর্মি ও তাতমাদো উভয়ের জন্য দরকার—মূলত ‘ব্যবসায়িক’ প্রয়োজনে। আপাতত এই ‘নিয়ন্ত্রণ’-এ আরাকান আর্মি এগিয়ে আছে।

অন্যদিকে, কালাদন প্রকল্প নিয়ে এরা উভয়ে ভারতের সঙ্গে কিছু চাওয়া-পাওয়ার হিসাব মিলাতে চায়। ভারতের দিক থেকে অবস্থান হলো আরাকান যার নিয়ন্ত্রণে থাকবে তারা তাকেই ‘ট্যাক্স’ দিবে।

—

আপাতত এই ‘যুদ্ধ’—পূর্ণাঙ্গ এবং বড় ধরনের যুদ্ধে রূপ দিতে চায় না বিবাদমান কোন পক্ষই। উভয়ে তারা তৃতীয় পক্ষকে নিয়েও ভাবছে। সেটা হলো এনএলডির ‘এনইউজি’। এনইউজি বার্মিজ আর্মি ও আরাকান আর্মি উভয়ের প্রতিপক্ষ। এনইউজি অবশ্য চাইছে আরাকান আর্মির সঙ্গে বার্মিজ আর্মির সম্পর্ক খারাপ হোক। আবার গণচীন সেরকম কিছু চায় না। কারণ আরাকান আর্মি ও বার্মিজ আর্মি উভয়ের সঙ্গে তাদের ভালো সম্পর্ক রয়েছে। পুরো পরিস্থিতিতে এভাবেই জটিল এক রসায়ন রয়েছে।

—

এবার আসা যাক বাংলাদেশের প্রসঙ্গে। বাংলাদেশ তাদের মাটিতে এই যুদ্ধের ২/১টা মর্টার দেখেই যেভাবে উত্তেজিত হয়ে পড়েছে তা কিছুটা বিস্ময়কর। কারণ আরাকানে কী হচ্ছে সে বিষয়ে বাংলাদেশের আরো ভালো অবহিত থাকা উচিত ছিল।
পালেতোয়ায় বিবাদমান কোন পক্ষই বাংলাদেশকে আপাতত উত্তেজিত করতে চায় না—প্রতিপক্ষও নয়। কারণ তাদের উভয়েরই বাংলাদেশকে কিছুটা দরকার এই সীমান্তে। তার মানে অবশ্য এই নয় যে বার্মা কোন দিন বাংলাদেশের দিকে আগ্রাসন চালাবে না। কার্যত তারা ২০১৭ সালে বড় আগ্রাসন চালিয়েই বসে আছে নির্বিঘ্নে।
কিন্তু এখনকার পরিস্থিতি ভিন্ন।

প্রতিটি পরিস্থিতিতেই কিছু ভিন্নতা থাকে। গড়ে, মুখস্থভাবে সেগুলোকে একইভাবে বিশ্লেষণ করা এবং সেভাবে প্রতিক্রিয়া দেখানো বাস্তবসম্মত নয়।

—

[If we had deeply analyzed the current Arakan situation with field information, then we would not have sprouted and merchandised these false, imaginary explanations in the first place.
This does not mean Burma will not attack Bangladesh in the near or distant future. Even the displacement of the Rohingyas from Arakan to Bangladesh can be considered a clear act of aggression from Naypyidaw.

However, the events of this week are entirely different.

In Paletwa, clashes between the Arakan army and Burmese military are occurring mainly for two reasons:

Who will control the various `trade’ at Bangladesh-Burma border;
Who will be the key benefactor regarding the Indian Kaladan project areas in Paletwa.

Both–the Burmese military and Rakhine AA–are attempting to gain the empathy of Bangladesh in the midst of these skirmishes.
Hence, Bangladesh should not feel provoked or intimidated by any means. In addition, a full scale war is unlikely to break out in the current circumstances.
However, it is quite evident that India must `negotiate’ with the victor of this conflict in Arakan for their huge investment.]